১. শেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত রঙিন গ্রাফিক্স, কার্টুন চরিত্র, গেম এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ কনটেন্ট শিশুদের মধ্যে শেখার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ তৈরি করে। তারা শেখাকে খেলা মনে করে। ২. মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়সভিত্তিক ডিজিটাল শিক্ষা স্মৃতিশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায়। এটি শিশুর কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট (Cognitive Development) ত্বরান্বিত করে। ৩. প্রযুক্তির সাথে পরিচয় প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ ব্যবহারের জন্য শিশুদের প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল জ্ঞান থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তাদের প্রযুক্তির সাথে বন্ধুত্ব করায় শুরু থেকেই। ৪. ব্যাক্তিগত গতিতে শেখার সুযোগ প্রতিটি শিশু একরকম শেখে না। ই-লার্নিং শিশুদের নিজের গতিতে শেখার সুযোগ দেয়, যা আত্মবিশ্বাস গঠনে অত্যন্ত সহায়ক। ৫. অভিভাবকের জন্য অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে থাকে প্রোগ্রেস ট্র্যাকিং সিস্টেম, যেখান থেকে অভিভাবক সহজেই বুঝতে পারেন সন্তান কী শিখছে, কতটুকু শিখেছে। ৬. সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ অ্যানিমেটেড কনটেন্ট, গল্প ও গেম শিশুদের কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তারা শেখে চিন্তা করতে, প্রশ্ন করতে, এবং কল্পনা করতে। ৭. শহর-গ্রাম বৈষম্য কমানো যেসব এলাকায় ভালো স্কুল নেই, সেখানে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার বৈষম্য দূর করতে পারে। একটি স্মার্টফোনেই পৌঁছে যায় বিশ্বমানের শিক্ষা। সর্বোপরি, শিশুদের মেধা বিকাশে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম একটি নতুন যুগের দরজা খুলে দিচ্ছে, যেখানে শেখা মানে শুধু বই নয়, বরং অভিজ্ঞতা, আনন্দ ও অন্বেষণ।