বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির অগ্রগতি এতটাই দ্রুত যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা অনুভব করছি এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। শিক্ষা ব্যবস্থাও এর ব্যতিক্রম নয়। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আর তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হলে আমাদেরকেও পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ কারণেই বলা যায় — “আগামীদিনের শিক্ষা হবে ডিজিটাল নির্ভর।”
কেন ডিজিটাল শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ?
সহজ ও আকর্ষণীয় উপস্থাপন:
ডিজিটাল মাধ্যমে শিশুদের জন্য পড়াশোনা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। অ্যানিমেশন, ভিডিও, ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমসের মাধ্যমে শেখার পদ্ধতিগুলো তাদের আগ্রহ বাড়ায় এবং শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে তোলে।
শেখার গতিতে নমনীয়তা:
প্রত্যেক শিশুর শেখার গতি ভিন্ন। ডিজিটাল লার্নিং সেই অনুযায়ী সাজানো যায়। কে কতটা বুঝেছে, কোথায় সাহায্য দরকার — সব কিছু ট্র্যাক করা সহজ হয়।
সুরক্ষিত ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ:
বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকেই শিশুরা ঘরে বসে নিরাপদে ও পিতা-মাতার তত্ত্বাবধানে শিখতে পারে। একটা সময় ছিল যখন শিশুরা শুধু বই ও খাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। কিন্তু আজকের শিশুরা বড় হচ্ছে ট্যাবলেট, মোবাইল আর ইন্টারনেটের যুগে। তাই তাদের শেখার পদ্ধতিও হতে হবে যুগোপযোগী।
শেষ কথা:
ডিজিটাল শিক্ষা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নয়, বরং সেটি আমাদের বর্তমান। শিশুদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে এখনই সময় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হওয়ার। আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের সন্তানদের জন্য একটি মজার, নিরাপদ ও কার্যকরী শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করি।